ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন সংশয় প্রকাশ করেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার করে ব্যাপক অনিয়ম পেলে পুরো ভোট বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও নেতারা সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিয়ে বিরোধীতা করেন।
সম্প্রতি পাঁচ আসনের উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা না বসানোর কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
এখন রাশেদা সুলতানা জানালেন সংসদ নির্বাচনেও সিসি ক্যামেরা নিয়ে সংশয়ের কথা। তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার ব্যবহার গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশে (সংসদ নির্বাচনের আইন) নেই। তবুও জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হবে কি-না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, পাঁচ আসনের বাজেট ঘাটতির জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা যাচ্ছে না। হঠাৎ করে আসনগুলো শূন্য হয়েছে। এজন্য আমাদের বাজেট ছিল না। তবে আমরা বলছি না, যে সিসি ক্যামেরা একবারেই ব্যবহার করবো না। প্রয়োজন হলে ব্যবহার করবো।
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন নিয়ে এই কমিশনার বলেন, সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে। প্রার্থীদের আচরণ হবে বিধিমালা অনুযায়ী। নির্বাচন কমিশনের লোকবল খুব বেশি নয়, তারপরও আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, কোনো সমস্যা দেখা গেলে গাইবান্ধার মতো সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
ইইউডি/এসআইএস