ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রসিক নির্বাচনে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
রসিক নির্বাচনে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম কেন্দ্রে ভোটারা। ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ২২৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলবে।

এদিন সকালে ৮টি কেন্দ্রে দেখা যায় ভোটার উপস্থিতি খুব কম। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।  

ভোট দিতে আসা মুজিবর রহমান বলেন, ইভিএম নিয়ে মনে ভয় ছিল, কিন্তু কোনো ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিলাম। আশা করছি, ভালোভাবেই ভোট সম্পন্ন হবে।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন।

রংপুর সিটি করপোরেশনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

এর আগে, সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছানো হয়।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ দু’জন কনস্টেবল, দু’জন অস্ত্রধারী আনসার, ১০ জন আনসার-ভিডিপির সদস্যসহ মোট ১৫ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে।  গুরুত্বপূর্ণ ৮৬টি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩ জন কনস্টেবল, ২ জন অস্ত্রধারী আনসার ও ১০ জন আনসার-ভিডিপির সদস্যসহ মোট ১৬ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে।  

নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১১ প্লাটুন বিজিবি, ১৭টি র‌্যাবের টিম, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ৬টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে।  

এছাড়া নির্বাচনে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি ২২৯টি কেন্দ্রের সবগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।

নির্বাচনের প্রধান আকর্ষণ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  

তারা হলেন— জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।  

এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

রংপুর সিটি করপোরেশনে ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রের ১৩৪৯টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন।

২০১২ সালের ২৮ জুন ২০৫ দশমিক ৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর একই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সেবার ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট এবং বিএনপি নেতা কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ২১ হাজার ২৩৫ ভোট।

দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৪০০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট।

আরও পড়ুন>>রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।