ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএমে ত্রুটির কারণে ভোট দিতে পারছেন না অনেকে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
ইভিএমে ত্রুটির কারণে ভোট দিতে পারছেন না অনেকে

রংপুর: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ইভিএমে ত্রুটির কারণে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা গেছে অনেক ভোটারকে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বুথে প্রবেশ করেও ভোট দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন তারা।

বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে এমন অভিযোগ করেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। শুধু তাই নয়, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাও ভোট দিতে গিয়ে ইভিএমে ত্রুটির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, ইভিএমে ত্রুটি আছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়বে ভোটাররা। এখন বাস্তবেই তাই হচ্ছে।

নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিটি কলেজ কেন্দ্র থেকে অভিযোগ করেন কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাদৎ হোসেন।

তিনি বলেন, সকাল থেকে ইভিএমে সমস্যার কারণে অনেকে ভোট দিতে পারছেন না। কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এছাড়া প্রায় ১০টি কেন্দ্র থেকে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।  

এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ জন ও ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

রংপুর সিটি করপোরেশনে ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন।

২০১২ সালের ২৮ জুন ২০৫ দশমিক ৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর একই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সেবার ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট ও বিএনপি নেতা কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ২১ হাজার ২৩৫ ভোট।

দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৪০০ ভোট ও বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।