ঢাকা: সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে ২০১১ সালের জনশুমারির প্রতিবেদনটিই আমলে নেওয়ার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে জনসংখ্যার বিষয়টিও অগ্রাধিকারে রাখবে না সংস্থাটি।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আইনের যে বিধান আছে সে অনুযায়ী করা হবে। আমরা অপেক্ষা করছি সর্বশেষ জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য। সেটা যতদূর জানতে পেরেছি যে ওটা বিলম্বিত হবে। কাজেই আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী এগিয়ে যাবো। আইনে বলা আছে যে, সর্বশেষ শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন না পাওয়া গেলে আগের শুমারি দিয়ে করতে হবে। কাজেই আমরা সেভাবেই হয়তো অগ্রসর হচ্ছি। কেননা, ওটার জন্য তো আনলিমিটেড বসে থাকার সময় নাই। তারা (পরিসংখ্যান ব্যুরো) মে মাসের মধ্যে যদি (চূড়ান্ত) না করে বা তার পরে করে তাহলে তো আমাদের হাতে সময় থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখনও আমাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে আছি। আইনে কিন্তু জনসংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণের বিষয়টা সবার শেষে আছে। কাজেই কিভাবে করবে সেটা সংশ্লিষ্ট কমিটি ভালো বলতে পারবে।
সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, সীমানা পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে তারা প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে প্রাধান্য দেবেন। কেননা, জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দিতে হলে ঢাকার মতো শহরে আসন সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া প্রশাসনিকভাবে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে নাগরিকদের।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া সর্বশেষ জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন যদি না পাই তাহলে আগের প্রতিবেদন দিয়েই সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে ফেলবো। কেননা, এটা আমরা আগামী মে মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছি।
চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আগামী মে মাসের মধ্যে সীমানা পুনঃনির্ধারণের কাজ শেষ করতে চায় ইসি।
সর্বশেষ ২৫টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন করা হয়েছিল। সীমানায় পরিবর্তন আনা আসনগুলো হলো- নীলফামারী ৩ ও ৪, রংপুর ১ ও ৩, কুড়িগ্রাম ৩ ও ৪, সিরাজগঞ্জ ১ ও ২, খুলনা ৩ ও ৪, জামালপুর ৪ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ ৪ ও ৫, সিলেট ২ ও ৩, মৌলভীবাজার ২ ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ ও ৬, কুমিল্লা ৬, ৯ ও ১০ এবং নোয়াখালী ৪ ও ৫।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
ইইউডি/এসআইএ