ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল ইসি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল ইসি 

ফরিদপুর: ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  

রোববার (১২ মার্চ) ইসি সচিব জাহাংগীর আলমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে অবসরে পাঠানো হয়।

 

এতে বলা হয়, ফরিদপুরের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।

চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনোরূপ কারণ না দর্শিয়ে তাকে চাকরি থেকে অবসর দিতে পারবে।

মোস্তফা ফারুক ১৯৯৬ সালের জুনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগ দিয়েছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন।  

২০১৯ সালে ২৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের চার পদে রদবদল করা হয়, যার মধ্যে মোস্তফা ফারুককে ঢাকা থেকে সরিয়ে ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা করে পাঠানো হয়।  

ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে এমন সময় অবসরে পাঠানো হলো যখন ফরিদপুর সদরের ১১টি ইউপিতে নির্বাচন ও মধুখালীর একটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৬ মার্চ এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।  

মোস্তফা ফারুকের মোবাইল ফোনে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা দিয়েও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে, এ কথা তিনি রোববার বিকেলে জানতে পেরেছেন।  

নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালে এ অবসর আইন অনুযায়ী হয়েছে কি না- এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে সম্মত হননি এই নির্বাচন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।