ঢাকা: দলের ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব পূরণে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় পাওয়া, ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরও ভোট বাতিলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে রাখাসহ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের একগুচ্ছ প্রস্তাব মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠছে।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা যে ধরনের প্রস্তাব রেখেছি, তার প্রায় সবগুলোই আছে। কেবল ১ শতাংশ ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ না মিললে ভোট কর্মকর্তার আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহারের প্রস্তাবটি বাদ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবনা অনুমোদন পেলে এটি আগামী সংসদ অধিবেশনে উঠবে। জাতীয় সংসদের পরবর্তীতে অধিবেশ বসবে আগামী ৬ এপ্রিল।
ইসির দেওয়া প্রস্তাবে ভোট চলাকালে প্রভাব বিস্তার করলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার হাতে ভোট বন্ধ করার প্রক্রিয়া, ব্যালট পেপারের পেছনে অফিসিয়াল সিল ও ভোট কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকলে তা আমলে না নেওয়া, ভোটগণনার বিবরণী ও ব্যালট পেপারের হিসাব প্রার্থী বা তার এজেন্টকে বাধ্যতামূলকভাবে সরবরাহ করার বিধান আনার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া ভোটগ্রহণ শুরুর আগে-পরে ৪৮ ঘণ্টা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ, অস্ত্র ও পেশিশক্তি প্রদর্শন এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিতদের ভয় দেখালে সর্বোচ্চ সাত বছর ও সর্বনিম্ন দুই বছর জেল-জরিমানার বিধান আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং পেশিশক্তির প্রভাব রোধে সাজার বিধান আনা, মনোনয়নপত্র দাখিলের ‘সাতদিন আগের’ পরিবর্তে ‘আগের দিন’ কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণ এবং বিল খেলাপিদের ঋণ পরিশোধের সুযোগ রাখার প্রস্তাবও করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
ইইউডি/এএটি