ঢাকা: বিতরণ করা হয়নি বা ছাপানো হলেও যারা নেননি, তাদের স্মার্টকার্ড গোডাউনে নষ্ট হচ্ছে। তাই অবিরতণকৃত কার্ড দ্রুত বিতরণের জন্য ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত স্মার্টকার্ড ছাপানো হয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ। বিতরণ হয়েছে ৭ কোটি ১ লাখ। আর অবিতরণকৃত কার্ড রয়েছে ৭২ লাখ।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি স্মার্টকার্ড ছাপাতে ব্যয় হয় ১ দশমিক ৬ মার্কিন ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ছাপিয়ে নিচ্ছে ইসি। আগে ফরাসি প্রতিষ্ঠান ওবারথার টেকনোলজিসের কাছ থেকে স্মার্টকার্ড নেওয়া হতো। সে সময় ব্যয় হতো ১ দশমিক ৫১ ডলার।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়। এতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু্বিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর জানান, অবিতরণকৃত স্মার্ট আইডি কার্ডসমূহ কাগজের প্যাকেটে রক্ষিত থাকায় কিছু কার্ড নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবিতরণকৃত কার্ডসমূহ রি-বক্সিং করার জন্য প্লাস্টিক প্যাকেট দেওয়া প্রয়োজন।
বৈঠকে তিনি বলেন, অবিতরণকৃত স্মার্ট আইডি কার্ডগুলো দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তৎসংগে এর আইডি কার্ড তাকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোক্রমেই একজনের আইডি কার্ড অন্যজনকে দেওয়া যাবে না। আইডি কার্ড দেওয়ার সময় ভোটারদের বায়োমেট্রিক্স সঠিকভাবে নিতে হবে।
এ বিষয়ে আলোচনার পর সভাপতি ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অবিতরণকৃত আইডি কার্ড বিতরণের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত দেন।
এদিকে সভায় এনআইডি সংশোধনের বিষয়েও আলোচনা হয়। এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, ‘ক’ শ্রেণির সংশোধনসমূহ উপজেলা পর্যায়ে সম্পন্ন হয় যা, তুলনামূলকভাবে সহজ। কিন্তু ‘ক’ শ্রেণিতে অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা অনেক, যা কাম্য নয়।
ইসি সচিব বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত তথ্যে দেখা যায়, যেসব শ্রেণিতেই অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা অনেক। ‘গ’ ও ‘ঘ’ শ্রেণির আবেদনসমূহের সংশোধনী তুলনামূলক জটিল হলেও ‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণির আবেদনসমূহ ততটা জটিল নয়। তিনি ‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণিতে নিষ্পন্ন সম্ভব নয় এমন আবেদনসমূহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করে দ্রুত সব শ্রেণিতে অনিষ্পন্ন আবেদনসমূহ নিষ্পন্ন করার তাগিদ দেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছোটখাটো ভুল সংশোধনের এখতিয়ার উপজেলা, জেলা বা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হলেও তারা অনেক সময় এগুলো ঝুলিয়ে রাখেন। তাই এমন না করে আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মাঠ কর্মকর্তাদের। একইসঙ্গে যেসব আবেদন তাদের এখতিয়ারে নেই সেগুলো দ্রুত কমিশনের কাছে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
ইইউডি/এএটি