ঢাকা: আসন্ন খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নকারীর নাম রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ঈদের পরই দলগুলোকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসই হবে শেষ দিন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে গত ১৭ এপ্রিল। এক্ষেত্রে ২৩ এপ্রিল প্রার্থী মনোনয়নকারীর নাম জানানোর শেষ দিন ছিল। তবে শেষ দিন ঈদের ছুটির মধ্যে পড়ায় ছুটি শেষ হলে প্রথম কার্যদিবসেই এটি জানাতে হবে।
আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি রিটার্নিং কর্মকর্তাদ্বয়কেও পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ১২ এর উপবিধি (৩) এর দফা (গ) এর উপদফা (ইইই) অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত এ মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র থাকবে যে, ওই প্রার্থীকে ওই দল হতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, কোনো রাজনৈতিক দল কোনো সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারবে না, একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনে উক্ত দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
আরও উল্লেখ্য যে, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবি, নমুনা স্বাক্ষরসহ একটি পত্র তফসিল ঘোষণার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবে এবং ওই পত্রের একটি অনুলিপি নির্বাচন কমিশনেও পাঠাবে।
তফসিল অনুযায়ী, এ দুই সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী ১৬ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন।
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পুরো ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। আর প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা।
খুলনা সিটির সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। এ দুই সিটিতেই নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১১ অক্টোবর। এজন্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে ১১ এপ্রিল। আর ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১৪ নভেম্বর। পরে সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১৪ মে। আর ১৩ নভেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
ইইউডি/আরআইএস