সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত নির্দেশনা আমলে নেননি প্রার্থীরা। প্রার্থীদের নিজ খরচে ব্যানার, পোস্টার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল বা আলোকসজ্জা মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী প্রতীকসহ প্রচারণায় বাধা-নিষেধ রয়েছে। অনেকে রঙিন পোস্টার, দেয়াল লিখন, গাড়িতে রঙিন পোস্টার ব্যবহার, নেতানেত্রীর ছবি সম্বলিত পোস্টার ব্যবহার করেছেন বিধি ভেঙে। ফলে প্রার্থীদের প্রচারণা সামগ্রী সরাতে অভিযানে নামতে হলো নির্বাচনী কর্মকর্তাদের।
শনিবার (৬ মে) বেলা ১১টা থেকে দিনভর সিলেট সিটি করপোরেশনে রিটানিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ৪টি টিম নগরজুড়ে অভিযানে নামে।
অভিযানিক দলগুলো নগরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপনা, রাস্তার পাশে, সড়কের আইল্যান্ড, বাসা-বাড়ি ও মার্কেট-বিপণিবিতান, গাছে সাটানো সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করতে দেখা যায়।
অভিযানে একটি টিমের নেতৃত্ব দেন সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের। এছাড়া অন্যান্য টিমে ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার, মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তার স্টাফ মিডিয়া অফিসার কামাল আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে প্রার্থীদের প্রচারণা সামগ্রী সরানোর বিধিবিধান রয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে এমন নির্দেশনা জারির পরও প্রার্থীরা নিজ খরচে প্রচারণা সামগ্রী সরাননি। তবে প্রার্থীরা প্রচারণা সামগ্রী না সরালে নগর কর্তৃপক্ষ কিংবা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে কারণে অভিযান শুরু করা হয়েছে। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সিসিক কর্মীদের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া এর আগে আমরা শহরের মাইকিং করেছি। কেউ যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন তাহলে জেল-জরিমানা করা হবে। এরপরও যদি কেউ আইন না মানেন তাহলে ওই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিধানও রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৩ মে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, তোরণ ইতোমধ্যে নগর ছেয়ে গেছে।
গত এপ্রিল নির্বাচনী এলাকা থেকে সব ধরনের প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে ইসির এ নির্দেশনা মেনে কোনো প্রার্থীকে প্রচার সামগ্রী সরাতে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৩
এনইউ/আরবি