পটুয়াখালী: স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বিএনপি নেতা মো. কামাল হোসেন। তিনি কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠেয় ভোটে কামাল হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলেও কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে এমন পরিস্থিতিতে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, আমি তো স্বতন্ত্র নির্বাচন করি। আমি তো ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি না। ব্যক্তি হিসেবে আমি একটা নির্বাচনে অংশ নিতেই পারি। এখানে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কিছু নেই।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী বলেন, আমরা এ ঘটনায় কামাল হোসেনকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছি। নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য তাকে সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে। জবাব পেলে সাংগঠনিকভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, কামাল অনেক আগেই দলের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। এখন তিনি নির্বাচন করছেন।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. মোস্তফা কামাল জানান, কাকড়াবুনিয়া উপনির্বাচনে মোট সাতজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত নূর মোহম্মদ মৃধা, আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন, মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান, টেলিফোন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বাদশাহ খান, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সেলিম মিয়া এবং চশমা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ৯ মে এ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এসআই