ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

হামলার বিচারের দাবিতে কাউন্সিলর প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৩
হামলার বিচারের দাবিতে কাউন্সিলর প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন কথা বলছেন কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন হাওলাদার।

বরিশাল: হামলার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন হাওলাদার।

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাক স্মৃতি কলোনিতে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, শুক্রবার ( ২ জুন) রাত ৮টার দিকে নগরের সাউথ কিং রেস্টুরেন্টের সামনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) নির্বাচনী মিটিং চলছিল। সেখানে আমি মেয়রপ্রার্থীর সমর্থনে কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত হলে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী এ টি এম শহিদুল্লাহ কবিরের সরাসরি ইন্দনে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় আমার ছোট দুই ভাই, ছেলেসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, আমার সমর্থনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণ করার জন্য ওয়ার্ডবাসী যেতে চাই এটিএম শহীদুল্লাহ কবিরের সমর্থক স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা তাদের হুমকি দেয়। এরপর ছাত্রদলের মাসুম, সদ্য বিলুপ্ত হওয়া মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মান্নার সহযোগী রুবেল, সুমনসহ লোকজন দিয়ে আমাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়। অথচ তারাই আবার এখন মিথ্যাচার করছে। বিগত সময়েও আমার লোকদের ওপর হামলা চালিয়ে আবার আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বরিশালের উন্নয়ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হলে বরিশালের উন্নয়ন হবে। এজন্য আমি ও আমার কর্মীরা যখন ভোটারদের কাছে যাই তখন আমার ভোটের পাশাপাশি নৌকার জন্য ভোট চাই। কিন্তু নৌকার জন্য যে ওয়ার্ড কমিটি করা হয়েছে, এরমধ্যে কয়েকজন রয়েছেন যারা নৌকার ভোট যথাযথভাবে না চেয়ে এ টি এম শহিদুল্লাহ কবিরের জন্য ভোট চায়।

তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিপক্ষ প্রার্থী কেন্দ্র দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এসব নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি এবং শুক্রবার রাতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।

তবে শুক্রবার রাতের এ ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থী এ টি এম শহিদুল্লাহ কবির।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে লোক মারফত বিষয়টি তিনি শুনেছেন স্টেজে ওঠা নিয়ে জয়নাল আবেদীনের লোকজন নিজেরা নিজেরা ঝামেলা করেছে।

এর ভিডিও ফুটেজ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার লোকজনকে বিভিন্ন স্থানে ধরে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।

এদিকে শুক্রবার রাতে ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জয়নাল আবেদীন হাওলাদার।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৩
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।