খুলনা: খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। এ কারণে সোমবার (১২ জুন) কেসিসি নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
ইজিবাইকের নগরী হিসেবে খ্যাত খুলনায় পায়ে চালিত রিকশার সংখ্যা খুবই কম। অন্যান্য যানবাহন বন্ধ থাকায় রিকশাচালকরা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভোটারদের।
অনেকে অভিযোগ করেন, অধিকাংশ রিকশা ও ভ্যান প্রার্থীরা আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখায় সাধারণ ভোটাররা পাচ্ছেন না। যে কারণে অসুস্থ কিংবা পাশের ওয়ার্ডে থাকা লোকজন ভোট দিতে যেতে পারছে না।
নুরানী বহুমুখী মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ইদ্রিস আলী মামুন আক্ষেপ করে বলেন, নির্বাচনের কারণে রাস্তা অনেক ফাঁকা। অন্যান্য যানবাহন বন্ধ থাকায় পায়ে চালিত রিকশাচালকরা ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা নিচ্ছেন। অনেক এলাকায় রিকশাও পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে প্রচণ্ড গরমে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে কষ্ট হচ্ছে।
সূর্যের প্রখর রোদে তপ্ত রাস্তায় পায়ে হেঁটে সংবাদ সংগ্রহ করতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একটি জাতীয় দৈনিকের খুলনা প্রতিনিধি মো. তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে আগে নির্বাচনের সময় চষে বেড়ানো যেত মোটরসাইকেলে। কিন্তু এবার সে সুযোগটি না থাকায় ভীষণ বেগ পেতে হচ্ছে।
যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার গণবিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনের আলোকে কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় কতিপয় যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ১১ জুন দিনগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১২ জুন দিনগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার ও ইজিবাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। একইসঙ্গে ভোটগ্রহণের আশপাশের এলাকায় শনিবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এমআরএম/এএটি