ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

দুমকীতে ইউপি চেয়ারম্যান পদে বাবা-ছেলে প্রার্থী 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
দুমকীতে ইউপি চেয়ারম্যান পদে বাবা-ছেলে প্রার্থী 

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সাধারণ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন পিতা ও পুত্র।

ভোট কেন্দ্রে প্রভাব খাটাতে জনবল বাড়াতে কৌশল হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. আজাহার মৃধা (প্রতীক- আনারস) ও তার ছেলে মো. মাহমুদ হাসান (প্রতীক-ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজ নিজ প্রচার প্রচারণা চালানোর কথা থাকলেও বাস্তবচিত্র উল্টো। নিজের প্রচারণা বাদ দিয়ে বাবার পক্ষেই কাজ করছেন ছেলে।

ভোটকেন্দ্রে প্রভাব খাটাতে ও এজেন্ট বাড়াতে বাবা-ছেলে এ  কৌশল করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের।

সোমবার (১৭ জুলাই) এ উপজেলার শ্রীরামপুর ও লেবুখালী ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে।

শ্রীরামপুর ইউপির তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর অপরজন হলেন নৌকা প্রতীকের মো. আমিনুল ইসলাম ছালাম।

ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে বাবা মো. আজহারের আনারস প্রতীকে ভোট চাইছেন।  

স্থানীয়ভাবে যায়, শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় জন্য আগে থেকেই প্রচারণা চালিয়েছেন মো. আজহার। তবে তার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির অভিযোগ থাকায় প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে-এমন শঙ্কায় তিনি কৌশলে ছেলেকে দিয়েও মনোনয়নপত্র দাখিল করান। প্রাথমিকভাবে নির্বাচন অফিস থেকে আজাহারের মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও ঋণ পরিশোধ করে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। কিন্তু ছেলে মাহমুদ হাসানের প্রার্থিতা কৌশলগত কারণে প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পিতাপুত্র মিলে দ্বিগুণ এজেন্ট দিয়ে প্রভাব খাটানোর উদ্দেশে এমন কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  

শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ভোটার দেলোয়ার মৃধা বলেন, আগে দেখছি বাপ-ছেলে দাঁড়াইছে, দুজনেই নিজের জন্য ভোট চাইছে। কিন্তু এবার দেখি দুজন প্রার্থী হলেও একজনের কোনো পোস্টার ব্যানার নেই। দুজনে মিলে একজনের পক্ষে ভোট চাইছে।

ভোটার নুরুন্নাহার পারভীন বলেন, আমাগো কাছে ভোট চাইছে দুজনে, নমুনা ব্যালটে দেখি তিনজন। পরে শুনি একজন আজাহার মৃধার পোলা মাহমুদ। পোলারে তো দেহি নাই ভোট চাইতে।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজাহার মৃধার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তাকে পাওয়া যায়নি, তবে রাতে দুমকি থানা ব্রিজ বাজারে দেখা হলে, তার বক্তব্য জানতে চাইলে, তিনি দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।

আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আজাহার মৃধার ছেলে মাহমুদের সঙ্গে দেখা হলেও তিনি এসব বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম ছালাম বলেন, অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আনারসের প্রার্থী মো. আজাহার মৃধাকে বিজয়ী করতে মাঠে কাজ করছেন আজাহার মৃধার ছেলে ঘোড়া প্রতীকের মাহমুদ হাসান ও তার কর্মীরা। নির্বাচনের দিন সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় হবেন এ দুই প্রার্থী ও তাদের এজেন্টরা। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাই।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে প্রত্যেক প্রার্থীই তার নির্ধারিত সংখ্যক এজেন্ট দিতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই।  

বাবা-ছেলে প্রার্থিতা নিয়ে তিনি বলেন, শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে। এতে কোনো ধরনের অপরাধ করার সুযোগ নেই। কারো নামে অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।