ঢাকা: লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ স্থগিত রাখা হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আইনে আছে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে, কমিশন গেজেট প্রকাশ স্থগিত রেখে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। দুই আসনের ভোট নিয়ে অভিযোগ এসেছে, সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফল গেজেট স্থগিত রাখা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, হ্যাঁ, স্থগিত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুর উপ-নির্বাচনে সিল মারা প্রশ্নে মুখে কুলুপ ইসির
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, তদন্ত প্রতিবেদনে ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিশন নির্বাচন বাতিল বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করতে পারে।
সোমবার লক্ষ্মীপুর উপ-নির্বাচনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে একের পর এক সিল মারছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, যিনি সিল মারেন, তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।
লক্ষ্মীপুর-৩ উপ-নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ রাকিব হোসেন, নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. সামছুল করিম ও আম প্রদীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন। ১১৫ টি ভোটকেন্দ্রের ৮২৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু এক লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। ভোট পড়ে ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পান তিন হাজার ৮৪৬ ভোট।
আরও পড়ুন: নৌকায় ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ সিল মেরে ভাইরাল ছাত্রলীগ নেতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। ২৮ হাজার ৫৫৬ ভোট বেশি পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।
১৩২টি ভোটকেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু পান ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (কলার ছড়ি) অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পান ৩৭ হাজার ৭৫৮ ভোট।
জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) আব্দুল হামিদ ভাসানী তিন হাজার ১৪২ ভোট, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল) ৫৬১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (আম) ৭৩৯ ভোট পান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ