ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে তদন্ত কমিটি।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. জয়নাল আবেদিন। তবে, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা, তালশহর পশ্চিম ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা কেন্দ্রের ৪ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২৮ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৪৬ জন পোলিং অফিসার ছাড়াও কেন্দ্রে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের বক্তব্য শুনবে এ তদন্ত কমিটি।
আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ভোটে অনিয়মের খবরের বিষয়ে তদন্ত করে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন বলেন, আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে শাহজাহান আলম ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট। তবে আশুগঞ্জ উপজেলার বড়তল্লা, তালশহর পশ্চিম ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২৩
এসএম