ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ৩৮ দেশ ও সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানাল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদের অনেকের ব্যয় বহন করবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৮ দেশ ও সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দেশ ও সংস্থাগুলো হলো- ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মিশর, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, সেনেগাল, থাইল্যান্ড, আজারবাইজান, মালয়েশিয়া, মরিশাস, তিউনিশিয়া, ব্রুনাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত, সৌদি আরব, চীন, জাপান ও সিঙ্গাপুর।
এছাড়া সার্ক এবং ওআইসি মহাসচিব, ফেম্বোসা ও এ-ওয়েব চেয়ারপারসনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, যেসব দেশ তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়, সেসব দেশ সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে তারা।
জানা গেছে, ইসি যাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তাদের ভ্রমণ ব্যয়ও বহন করবে সংস্থাটি। কেননা, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে যখন তারা আমন্ত্রণ জানায়, ব্যয় আমন্ত্রণকারী দেশ সংস্থাই বহন করে।
এদিকে এ পর্যন্ত ১২টি দেশ ও সংস্থার ৪৪ জন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক ভোট পর্যবেক্ষণের আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।
ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, উগান্ডার ১১ জন আসতে চায় আফ্রিকান ইলেকটোরাল অ্যালায়েন্স থেকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চারজন, বার্তা সংস্থা অ্যাজেন্সি ফ্রান্স প্রেস-এর ১২ জন, আবুধাবি থেকে একজন, ভারতের এনডিটিভি’র দুইজন, সাউথ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চারজন, ব্রিটিশ হাইকমিশনের একজন, ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টিয়ান কংগ্রেসের তিনজন, সুইডিশ রেডিও থেকে একজন, জাপানের একজন, জার্মানির দুইজন (একজন সাংবাদিক), ইতালি থেকে একজন ও অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের একজন ভোট পর্যবেক্ষণে আসতে চায়।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ১২ দেশের পর্যবেক্ষক ও বিভিন্ন সংস্থা সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে বলে আবেদন জানিয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশিরা ভোট পর্যবেক্ষণের আবেদন করতে পারবে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের মাধ্যমে। আবেদন পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেবে কমিশন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।
বাংলাদেশ সময়: ০০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
ইইউডি/আরআইএস