মানিকগঞ্জ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ের পর মানিকগঞ্জের তিন আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত তিন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা হয়েছে। তবে তারা আপিল করবে বলেও শোনা যাচ্ছে।
ঋণখেলাপি ও গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বৈধতা পায়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে জেলার তিনটি আসনের ৩৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতার বৈধ তালিকা ঘোষণা করা হয়।
এতে দেখা যায়, বৈধ তালিকা নেই জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যও জেলার সভাপতি এস এম মান্নান, আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান সাঈদ।
জানা যায়, ব্যাংকের ঋণখেলাপির দায়ে মানিকগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম মান্নান ও জহিরুল আলম রুবেলের মনোনয়নপত্র বৈধ তালিকায় আসেনি। অপর দিকে জাতীয় পার্টির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসান সাঈদের গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় বৈধ তালিকায় উঠতে পারেনি। তারা প্রত্যেকেই নির্ধারিত সময়ের ভেতর আপিল করবেন।
মনোনয়নপত্র বৈধ তালিকায় না থাকা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসান সাঈদ বলেন, আমাদের জাতীয় পার্টির তিনজনের মনোনয়নপত্র ঋণখেলাপি ও গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় বৈধ তালিকায় আসেনি। আমার গ্যাস বিল বকেয়া পড়েছে ৬৪ হাজার টাকা, গ্যাস পাই না কিন্তু বিল দিতে হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিটও করেছি। আমরা জাতীয় পার্টির তিনজনই নির্ধারিত সময়ে ভেতর আপিল করব।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে ৩৩টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১২টি বাতিল হয়েছে। বৈধ হয়েছে বাকি ২১টি।
মানিকগঞ্জ-১ আসনে দশটি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৬টি বাতিল হয়েছে এবং বৈধ হয়েছে চারটি।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে ১৪টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে চারটি বাতিল হয়েছে এবং ১০টি বৈধতা পেয়েছে। মানিকগঞ্জ - ৩ আসনে নয়টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে দুটি বাতিল হয়েছে, বৈধ হয়েছে সাতটি।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার বলেন , মানিকগঞ্জের তিনটি আসনের মনোনয়ন পত্রের যাচাই-বাছাইয়ের দিন ধার্য ছিল, আমাদের প্রাপ্ত মনোনয়নপত্র ছিল ৩৩টি। যাচাই-বাছাইয়ে ১২টি মনোনয়নপত্র বৈধতা পায়নি এবং তারা চাইলে আপিলও করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৩
এসএএইচ