বগুড়া: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বগুড়ায় তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট ৪১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিন ১৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ছয়জনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের শেষে এ ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট আটজন। তাদের মধ্যে দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও দুইজনের স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল হওয়া দুইজনের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ওমর ফারুক ঋণখেলাপি হওয়ায় এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আব্দুন নূরের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থকের নাম না থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী নজরুল ইসলামের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সম্পদ ও হলফনামার বিবরণী না থাকায় এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মামুনুর রশিদের মনোনয়নপত্রে তথ্যের গরমিল থাকায় তা স্থগিত করা হয়।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট আটজন। তাদের মধ্যে দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও তিনজনের স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল হওয়ায় নয়ন রায়ের প্রার্থীতা বাতিল এবং সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু হাউজ বিল্ডিংয়ের ঋণখেলাপি ও শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল হওয়ায় তার প্রার্থী বাতিল করা হয়।
এছাড়া স্থগিত হওয়া প্রার্থীরা হরেন- জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আজিজ আহম্মেদ রুবেল কাস্টমসে মূসকের ১০ হাজার টাকা ও জাসদের ইমদাদুল হক ইমদাদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার মূসক পরিশোধ না করায় এবং এনপিপির শহিদুল ইসলাম বা তার কোনো প্রতিনিধি যাচাই-বাছাইয়ে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়।
বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট ২৫ জন। তাদের মধ্যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও একজনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকার কারণে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- নজরুল ইসলাম মিলন, আতাউর রহমান, আমজাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আসাফুদৗলা সরকার, সারোয়ার হোসেন, জুলফিকার আলী, মেজবাউল আলম ও মানিকুর রহমান। স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল ইসলামের নামে ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র না থাকা ও শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল এবং মোস্তাফিজুর রহমান মিলু কাস্টমসের মূসকের চার লাখ ৪০ হাজার টাকা বকেয়া রাখা ও শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী রাকিব হাসানের দলীয় মনোনয়নপত্র না থাকায় তার মনোনয়নও বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী এনামুল হক রাঙ্গার সমর্থক উপস্থিত না থাকায় তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়।
জেলা রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, যাচাই বাছাইকালে যাদের মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা ঘাটতিগুলো পূরণ করলে তাদের মনোনয়নপত্র গৃহীত হবে। আর যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা আপিল করার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
কেইউএ/এসএম