মাদারীপুর: মাদারীপুর-৩ আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. তাহমিনা বেগমকে আদালতে তলব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মাদারীপুর-০৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) বিচারক মো. শরিফুল হক প্রার্থীকে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহকারী রিটানিং অফিসার ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ।
এই অভিযোগের পর অভিযুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমকে মঙ্গলবার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) বিচারক মো. শরিফুল হক হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম গত ২৯ নভেম্বর গাড়ি বহরসহ বহিরাগত ও তার অনুসারীদের নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে ব্যান্ড পার্টি, ঢোল বাদ্যযন্ত্র, বাঁশি বাজিয়ে ও খিচুড়ি পরিবেশন করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। পরে ওইদিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে চলে আসেন। পরের দিন ৩০ নভেম্বর সকালে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল।
মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. শরিফুল হকের পেশকার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, দুইজনকেই নোটিশ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থী, মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন।
পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে নির্দেশনা দেন। এরপর নৌকার প্রার্থীকে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
গত রোববার বেলা ১১টায় মাদারীপুর-০৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. শরিফুল হকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী তিনজন ব্যাখ্যা দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, মাদারীপুর-০৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং এই আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর কিছু সময় আগে মোটরসাইকেল, পিকআপভ্যান, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে দলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা চত্বরে শোডাউন দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
আরএ