বরিশাল: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার ছয়টি আসনে ৪৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এরই মধ্যে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীরা তাদের সম্পদের হলফনামাও দিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্যানুযায়ী, বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ২০১৩ সালের হলফনামায় ২৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার ওপরে বাৎসরিক আয় ছিল। ২০১৮ সালের হলফনামায় সেই আয় দেখানো হয় দুই কোটি ৪৮ লাখ টাকার ওপরে। এবার হলফনামায় সেই আয় দেখানো হয়েছে চার কোটি ১৭ লাখ টাকার ওপরে।
তার হলফনামায় দুটি জিপসহ ৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার ওপরে অস্থাবর সম্পদ এবং স্থায়ী সম্পদে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের ১৭ একর কৃষি জমি, ৪১.০৪৯ একর অকৃষি জমি, ঢাকার কলাবাগানে ১টি দালান ও যৌথ নামে নিজ গ্রামে পৈত্রিক বাড়ির একাংশ হলফনামায় দেখানো হয়েছে। তবে স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে তার সম্পদের হিসাব শূন্য।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপুর আয় বেড়েছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার বাৎসরিক আয় ছিল ৬ কোটি ১০ লাখ টাকার ওপরে। এবারের হলফনামায় তার বাৎসরিক আয় প্রায় ১৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে প্রায় ৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল তার। এবার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৮ কোটি টাকার ওপরে। এবার তার স্ত্রীর নামেও ৪ কোটি টাকার ওপরে অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন, যা আগে ছিল না।
বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের আয় বেড়েছে। আগে যেখানে তার বাৎসরিক আয় ছিল ৩৫ লাখ টাকার ওপরে। এখন বাৎসরিক ৪৩ লাখ টাকার কিছু বেশি। তবে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদে তেমন একটা পরিবর্তন ঘটেনি।
বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুকের বাৎসরিক আয় দেড় কোটি টাকার ওপরে, যেখানে ৫ বছর আগে তার বাৎসরিক আয় ছিল সাড়ে ৪ লাখ টাকার কিছুটা বেশি। হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গেল ৫ বছরে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণও অনেকটাই বেড়েছে এই প্রার্থীর।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহরও বাৎসরিক আয় বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে অস্থাবর সম্পদে নগদ টাকাও কিছুটা বেড়েছে। ২০১৩ সালে তার বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছিল ৮ লাখ ৩১ হাজার টাকার কিছু বেশি, যেখানে বর্তমান হলফনামার তথ্যানুযায়ী, বাৎসরিক আয় ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনের সময় হলফনামায় তিনি অস্থাবরে ১টি রকন্ডিশনড মাইক্রো, কিছু আসবাবপত্র ছাড়া ৮ লাখ ৮১ হাজার টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। আর স্থাবরে অকৃষি জমির খাতে ঢাকার পূর্বাঞ্চলে রাজউকের প্লট ও গুলশানের নিকেতনে ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এবারের হলফনামায় অস্থাবরে নিজ নামের ঘরে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার অধিক সম্পদ ও স্ত্রীর সাড়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের ১০ ভরি স্বর্ণের কথা উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
এমএস/এইচএ/