ঢাকা: প্রার্থিতা ফিরে পেতে রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করতে এসেছিলেন কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন ভবনে আপিল শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
হলফনামায় ত্রুটি থাকায় নাসিরুলের ফরম বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কেন কি কারণে এমনটি হলো- তাকে দেখে এসব ব্যাপারে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
নাসিরুল বলেন, নির্বাচন অফিস থেকে বলছে হলফনামায় নাকি ত্রুটি আছে। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে যে কাগজপত্র জমা দিতে হয়, তা জমা দিয়েছি। একই সিস্টেমে জাতীয় নির্বাচনে কাগজ জমা দিয়েছি। কিন্তু উপজেলায় সেটা কীভাবে এলাউ করলো? আমি তো চার বছর ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান।
২০১৪ সালে আমার নামে একটা মামলা ছিল। ওই সময় আমি ঢাকায়, মারামারি হয়েছে কিশোরগঞ্জ শহরে। পরে আমার নাম দিয়ে দিয়েছে। তদন্ত করে দেখে আমি ঢাকায় ছিলাম। আমাকে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছে। আমার নামে তো মামলাই হয়নি।
প্রার্থিতা ফিরে পাবেন বলে মনে করেন নাসিরুল ইসলাম। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর জামানত থাকবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জোটের কোনো সমীকরণে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে কিনা, গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে প্রশ্ন করেন। নাসিরুল বলেন, জোটের কোনো সমীকরণ না। জোটকে তো তিনবার দিয়েছি। তিনবার ছেড়ে দিয়েছি। জোট আসুক, মাঠে খেলা হোক। ভোটাভুটি হোক, যাচাই হোক দেখি। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। চুন্নু মাঠে আসুক, আমরা ভোট করি। কে কত ভোট পায় দেখি। আমি মনে করি নেত্রী এবার জোটে দেবেন না। এবার প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। জোটে দিলে ভোট দেবে কে?
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
ইইউডি/এমজে