ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

যুক্তরাষ্ট্রে সাদিক আবদুল্লাহর সম্পদ, দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য চাইল ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রে সাদিক আবদুল্লাহর সম্পদ, দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য চাইল ইসি

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং তার স্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও সম্পদের তথ্য দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ঢাকাr মার্কিন দূতাবাসের সহায়তা নিতে বলেছে সংস্থাটি।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনাটি ইসির আইন-শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ সংসদীয়ন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করা মনোনয়নপত্রের সাথে সংযুক্ত হলফনামায় তার নিজের ও স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সম্পদ সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছেন মর্মে অভিযোগ করে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ওই আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক নির্বাচনী আপিল (আপিল নম্বর-০৮৬/২০২৩) নির্বাচন কমিশনে দায়ের করেন।

নির্বাচন কমিশন গত ১০ ডিসেম্বর আপিল শুনানিকালে এ প্রার্থীর ও তার স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সম্পদ সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।

ওই আপিল সংক্রান্ত শুনানি মুলতবি করে চাওয়া তথ্যপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর আপিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।

এ অবস্থায়, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সহায়তায় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও তার স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত তাদের সম্পদ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠানোর জন্য বলে  কমিশন।

গত ৬ ডিসেম্বর সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্র বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেন বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক।

এদিকে ৯ ডিসেম্বর জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আপিল করেন সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি জাহিদ ফারুকের বিরুদ্ধে হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনেন। তার আবেদনের শুনানি হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছিলেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ।  

আর বৈধ হয় এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ। আর বাতিলের খাতায় অধিকাংশই স্বতন্ত্র, ৪২৩ জন।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।