কক্সবাজার: মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র,গভীর সমুদ্র বন্দর, এলএনজি টার্মিনালসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের কারণে পর্যটন শহর কক্সবাজারে মহেশখালী - কুতুবদীয়া নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-২ আসনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এ আসনে দুবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। হলফনামায় ভোটারদের কাছে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি তিনি পূর্ণ বাস্তবায়ন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
এম কম পাশ আশেক উল্লাহ রফিকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। গত পাঁচ বছরে তার নগদ টাকা বেড়েছে এক কোটি ৩ লাখ ৪০ হাজার। তবে ব্যবসার মূলধন কমেছে। এবার তার বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন কৃষি,ব্যবসা,শেয়ার,সঞ্চয়পত্র,ব্যাংক আমানত,সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত সম্মানীসহ ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৩২টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় ২০১৮ সালে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৬ হাজার ২০৬ টাকা। পাঁচ বছর পর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাড়িয়েছে ৬ কোটি ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ১১৯ টাকা। এই পাঁচ বছরে স্ত্রীর কাছে থাকা ৩০ ভরি স্বর্ণ অপরিবর্তিত রয়েছে। স্ত্রী বা তার আয়ের ওপর নির্ভরশীল কারও নামে কোনো সম্পদ নেই। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্ত্রীর নামে নগদ টাকা ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এরপর দুইবার দেওয়া হলফনামায় স্বর্ণ ছাড়া অন্য কোনো অর্জিত সম্পদ স্ত্রীর নামে উল্লেখ নেই।
অবশ্যই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় আশেক উল্লাহ রফিকের ব্যাংক ঋন ছিল ৪১ লাখ ৫৪ হাজার ১৪ টাকা। এবার তাঁর ঋণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৭ টাকা।
১০ বছর আগে আশেকের কৃষিজমি ছিল ৩ দশমিক ৩৩ একর এবং অকৃষি জমি ছিল ৩ দশমিক ৩৯ একর। এখন তার কৃষিজমি ১৬ দশমিক ১৩ একর এবং অকৃষি জমি আগের মতোই। ১০ বছর আগে তিনি দালানের মূল্য দেখিয়েছিলেন ১৫ লাখ ৬০ হাজার। এখন দালানের মূল্য দেখিয়েছেন ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
আশেক উল্লাহ রফিক তার দাখিল করা হলফনামায় পূর্ণাঙ্গ তথ্য উপস্থাপন করেছেন জানিয়ে বলেন,‘দীর্ঘদিন ধরে আমি ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। যা আয় তা ব্যবসা থেকেই।
বৈধ আয়ে জীবনযাপন করছেন বলে জানান এমপি আশেক।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
এসবি/এসআইএস