গাজীপুর: নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, যারা নির্বাচনে আসেনি এবং যারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের সে ঘোষণা বেআইনি। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে তারা গণতান্ত্রিক অধিকার রাজনৈতিক কার্যক্রম করতে পারবেন।
তিনি বলেন, কেউ কোনো নাশকতা করতে চাইলে তারা ধরা পড়ে যাবেন। এখন প্রযুক্তির যুগ। কেই যদি নাশকতা করে মনে করেন, আমি ধরা পড়ব না, বেঁচে যাব, তা কিন্তু এখন আর সম্ভব নয়।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অংশ নেন রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিরা।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। তারা শুধু আমাদের কাছে জানতে চায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী কী কাজ করছি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। পুলিশ কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসার, যখন যেখানে প্রয়োজন হবে, তারা সেখানে মুভমেন্ট করবেন। নাশকতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর। গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আইনে বলা আছে, নির্বাচনে প্রার্থী, ভোটারদের বাধা দিলে বা নির্বাচনী ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটালে তা আইন অনুযায়ী অপরাধ। আমরা চিঠির মাধ্যমে বলেছি, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার কার্যক্রম শুরু হবে।
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে। সুশৃঙ্খলভাবে ভোট হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট হবে। আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন। নিরাপদে আসতে পারবেন, ভোট দিয়ে আবার নিরাপদে বাড়িতে যেতে পারবেন।
নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন গুজব শুনবেন না, গুজব ছড়াবেন না, গুরুত্বও দেবেন না। কেউ যদি গুজব ছড়ায় তাহলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন।
সভায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩।
আরএস/আরএইচ