টাঙ্গাইল: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফ মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
গত ১৯ ডিসেম্বর কমিটির চেয়ারম্যান টাঙ্গাইল সিনিয়র সহকারী জজ মল্লিকা বসাক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী সভায় ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে গজারি গাছের ডাল আর বাঁশের লাঠি তৈরি করতে বলেছেন ভোটারদের। এতে করে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮ এর ১১ (ক) বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে তাদের দুইজনকেই আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টার মধ্যে হাজির হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে নৌকার মনোনীত প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনিরকে ২১ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় এবং ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধুর ছবি, আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কেন্দ্র খরচের টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সকাল ১১টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুকে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৯ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল-২ এর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান নিভানা খায়ের জেসী স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নোটিশ দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল-২ আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছোট মনির ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু এই দুই প্রার্থীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে।
এছাড়া টাঙ্গাইল-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
আরএ