ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুটি আসনে নৌকার দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ আসায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।
ঝিনাইদহের ডিসি ও এসপিকে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ নির্বাচনী এলাকার শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের রয়েড়া বাজারে ২১ ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের অনুসারী ক্যাডার বাহিনী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামের সমর্থক উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবদার হোসেন মোল্লাসহ তার পাঁচ কর্মী ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করাসহ এ জেলায় বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী, ফৌজদারি ও নির্বাচনী অপরাধ এবং আচরণবিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার তথ্য ও অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে পাওয়া গেছে।
এসব ঘটনার ভিডিও, স্থিরচিত্র ও রিপোর্ট/সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থায় তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
অন্যদিকে রাজশাহীর ডিসি ও এসপিকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের রাজশাহী-৬ নির্বাচনী এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হকের ছোট ভাই মো. নাজির হোসেনকে ২১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে সমর্থকরা নৌকা প্রার্থীর অফিসের ভেতরে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করাসহ এ জেলায় বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী, ফৌজদারি ও নির্বাচনী অপরাধ এবং আচরণবিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার তথ্য ও অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে পাওয়া গেছে।
এসব ঘটনার ভিডিও, স্থিরচিত্র ও রিপোর্ট/সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থায় ওই ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছে ইসি।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৩
ইইউডি/আরবি