বগুড়া: বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে ডাব প্রতীক নিয়ে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন হিরো আলম। এরই মাঝে তিনি নির্বাচনে প্রচারে মাঠে নেমেছেন।
নির্বাচনী প্রচারণাকালে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, আমাকে যদি মেরে ফেলে দেয়। একটা হিরো আলম মরলে ১০টা হিরো আলম জন্ম নেবে। সততার সহিত বীরের মতো মরা ভালো। কাপুরুষের মতো মরা ভালো নয়।
হিরো আলম বলেন, ভোটের মাঠে নামলে যেকোনো রাজনৈতিক নেতার ওপর হামলা হবে, মামলা হবে। মার খাবে, মার দেবে এটাই নিয়ম। এখন এসব যদি ভয় করি তাহলে ভোটের মাঠে ভোট করতে পারবো না। আমি যদি নিজেকে নিয়েই ভয় করি তাহলে আমি জনগণের সেবা করবো কিভাবে। অবশ্যই আমাকে আগে ভাবতে হবে জনগণকে নিয়ে।
এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ভোট হয় ব্যক্তি দেখে। এখানে মার্কা কোনো বিষয় নয়। কোনো দলও বিষয় নয়। কেউ যদি কাউকে ভালোবেসে ভোট দেয় তবে সেটা ব্যক্তি দেখে ভোট দেবে। হিরো আলমকে যদি পছন্দ হয়, তাহলে সেটা কোন দল হোক, স্বতন্ত্র হোক সেটা দেখবে না। তারা হিরো আলমকে ভোট দেবে। এটা আমার বিশ্বাস।
হিরো আলম আরও বলেন, আজকে থেকে যেহেতু প্রচারণায় নেমেছি। আমাদের হাতে আরও অনেক সময় আছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রমী কিছু থাকবে। চমক থাকবে। যেহেতু আমরা শুরু করেছি ভালো কিছু দিয়ে। প্রচারণার শেষও করবো ভালো কিছু দিয়ে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, সারাবিশ্বই জানে হিরো আলম এই আসনে পাস করেছিল। কিন্তু আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে ভোটারদের মধ্যে একটা ভয় ঢুকে গেছে। তারা বলছেন, আমরা কষ্ট করে গিয়ে ভোট দিলাম। কিন্তু তোমাকে জেতানো হলো না। এবারও এ ধরনের কিছু একটা হতে পারে এই ভয়টা ভোটারদের মধ্যে জেগেছে আবারও।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে হিরো আলম বলেন, আমি ভোটারদের বলছি, দেখি আমরা আরেকবার নির্বাচন করি। এবার সরকার, নির্বাচন কমিশনার সবাই বলতেছে, এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। একবার যেহেতু আপনারা আমাকে ভোট দিয়েছিলেন, আরেকবার আমাকে ভোট দিয়ে দেখেন। আমাদের জয় আবার কেড়ে নেয় কি না।
এদিকে প্রচারণায় নামার আগে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বগুড়া পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হিরো আলম।
হিরো আলম বলেন, আগামীকাল থেকে প্রচারণা শুরু করবো। প্রচারণার আগে এসপি স্যারের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। স্যারকে জানিয়েছি কাহালু নন্দীগ্রামে প্রচারণাকালে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে যেন পুলিশের সহযোগিতা পাই। এবার কাউকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না। কেউ যেন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে না পারে এজন্য নির্বাচনের মাঠে রয়েছি।
২৯ নভেম্বর বগুড়া-৪ আসনে সুপ্রিম পার্টির থেকে মনোনয়ন তুলেছিলেন হিরো আলমের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। পরবর্তীতে রাতারাতি তা পাল্টিয়ে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও অংশ নেন হিরো আলম। এবারও হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে ডাব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
কেইউএ/এএটি