ঢাকা: ঢাকা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল মার্কা) মো. কামরুল হাসান রিপনের এক সমর্থককে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মো. সুজন নামে রিপনের সমর্থকে এ হুমকি দেন স্থানীয় কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহমেদ।
সুজন বলেন, নিজের গরুর খামারে নিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহমেদ।
কীভাবে কি হুমকি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে ভুক্তভোগী বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমাকে ফোন করে ডেমরা থানাধীন রাজাখালী মসজিদ সংলগ্ন গরুর খামারে যেতে বলেন কাউন্সিলর সালাউদ্দিন। আমাকে কামরুল হাসান রিপনের সঙ্গে কাজ না করে তার (সালাউদ্দিন) সঙ্গে কাজ করার কথা বলেন।
এ সময় আমি তার কাছে জানতে চাই, আমি কি নৌকার পক্ষে কাজ করবো? উত্তরে সালাউদ্দিন বলেন, নৌকা তোর (অপ্রকাশযোগ্য কথা) মধ্যে ঢুকায় দিবো। আমি যেখানে আছি, সেখানে থাকবি। না হলে নৌকা ও ঈগলের পক্ষে কোনো ধরনের প্রচারণা করবি না। যদি করিস, তাহলে তোর বুকে পাড়া দিয়ে গলায় ছুরি চালিয়ে মাথা আলাদা করে দেবো, ভুঁড়ি বের করে ফেলব।
তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু তারা সেটি সাধারণ ডায়েরি আকারে নেয়নি। তবে তাকে ও কাউন্সিলরকে ডেকে নিয়ে কোনোরকম মিমাংসা করে দিয়েছে।
সুজনের পক্ষের লোকেরা বলছেন, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহমেদ কর্তৃক ঈগল প্রতীক প্রার্থীর সমর্থককে হত্যার হুমকির ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের তৈরি হয়েছে। বিষয়টির দ্রুত সুরাহা না হলে নেতাকর্মীদের মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাউন্সিলর সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সুজনকে কোনো হত্যার হুমকি দেওয়া হয়নি। কোনো কিছু হয়ে থাকলে সে মামলা করুক।
ঘটনা সম্পর্কে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তাদের ডাকা হয়েছিল। দুজনের মধ্যে মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। জিডি নেওয়ার জন্য ডকুমেন্টস চাইলে সুজন জানিয়েছেন, তা নেই। যে কারণে তার অভিযোগ জিডি আকারে নেওয়া হয়নি। নির্বাচনী ক্যাম্প করতে কারও বাঁধা দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে কথা হলে ঢাকা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল হাসান রিপন বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন, সেখানে এভাবে হত্যার হুমকি নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করবে। একই সাথে এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং তাদের ভোট কেন্দ্রে আনা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা মার্কা) হারুনুর রশিদ মুন্না বলেন, এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে। আমি কোনো মল্ল যুদ্ধ চাই না। এই ধরনের ঘটনা যে-ই ঘটাক তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
এনবি/এমজে