ঢাকা: ঢাকা-৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আকতার হোসেন।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর একটি আবেদনপত্র নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাপ্তি ও জারি শাখায় জমা দেন তিনি।
অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, আমি মো. আকতার হোসেন, জাতীয় সংসদের ঢাকা-৬ আসনের একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী। এই আসনে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নৌকা প্রতীক নিয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তিনি যে পোস্টার ঝুলিয়েছেন তার প্রায় সবই লেমিনেটেড, যার প্রতিটির উৎপাদন মূল্য প্রায় ৯ (নয়) টাকা।
ঢাকার সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, ওয়ারী, কোতয়ালী ও আংশিক বংশাল এলাকাসহ বিশাল এই নির্বাচনী এলাকায় তার লাখ লাখ লেমিনেটেড পোস্টার দৃশ্যমান।
এছাড়া তার হাজার হাজার নির্বাচনী ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো রয়েছে। একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ নির্বাচনী ব্যয় ২৫,০০,০০০ (পঁচিশ লাখ) টাকা।
আপনার পক্ষ থেকে যেকোনো এক বা একাধিক সুযোগ্য হিসাব নিরীক্ষক দিয়ে নিরীক্ষা করালে আপনি নিশ্চিতভাবেই জানতে পারবেন যে, ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে তিনি তার নির্বাচনী ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছেন।
আমি অনতিবিলম্বে উপরোক্ত বিষয়টির নিরীক্ষা ও তদন্ত সম্পন্ন করার আহ্বান জানাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাছে তার নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা অতিক্রম করার কারণে মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
অতএব, অনুগ্রহ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা অতিক্রম করার কারণে মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের নির্বাচনী প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে বাধিত করবেন।
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। আর ভোটার সংখ্যা যাই হোক না কেন পুরো আসনের নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ ব্যয় করতে পারবেন ২৫ লাখ টাকা।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
ইইউডি/এসআইএ