ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আঞ্চলিকতাই মূল পার্থক্য গড়ে দিতে পারে কক্সবাজার-১ আসনে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৪
আঞ্চলিকতাই মূল পার্থক্য গড়ে দিতে পারে কক্সবাজার-১ আসনে

কয়েকদিন পরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সারা দেশে চলছে ভোটের আমেজ।

ব্যতিক্রম নয় কক্সবাজার-১ আসন। জেলার চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। এই আসনে নির্বাচিত এমপি জাফর আলম গত পাঁচ দায়িত্ব পালন করেছেন।  

এবার তিনি নিজের দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। এলাকার মানুষের সমর্থন ও জনপ্রতিনিধিদের উৎসাহে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।  

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণ হিসেবে জাফর আলম বলেন, দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন করতে ইচ্ছুক সবাইকে নির্বাচন করতে বলেছেন। মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই। এমনকি কর্মীদের কাজ করতেও কোনো বাধা নেই। তাছাড়া আমার আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী নেই। তাই আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হয়ে আমার আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই।

কক্সবাজার-১ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন হিসেবে আছেন লাঙ্গল প্রতীকে হোসনে আরা, কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে মিরাক্কেল তারকা আরমান এবং হাতঘড়ি প্রতীক নিয়ে কল্যাণ পার্টির ‘বহিষ্কৃত’ চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ ইব্রাহিম। তারাও নির্বাচনের মাঠে বেশ সক্রিয়। স্থানীয় নানা ইস্যু কাজে লাগিয়ে ভোটে জেতার জন্য মরিয়া তারা। তবে তারুণ্যের প্রতীক ও তারকা খ্যাতির কারণে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অন্যদের চেয়ে খানিকটা এগিয়ে আছেন কমরউদ্দিন আরমান।  

এইরমধ্যে এমপি জাফর স্থানীয় ইস্যুর কারণে ট্রাক প্রতীক নিয়ে এগিয়ে আছেন। নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিদিন ১৫টির বেশি পথসভা ও উঠান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, তার পরিবারের সদস্যরা এবং উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এইরমধ্যে দুই উপজেলার ২৬ ইউনিয়নের ১৭ জন পক্ষ নিয়েছেন এমপি জাফরের। ইতোমধ্যে তারা নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদনও করেছেন ইসিতে। অন্য প্রতিনিধিরা আছেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সাথে, কেউ কেউ আবার নিষ্ক্রিয়। জেলা আওয়ামী লীগ ইব্রাহিমকে সমর্থন দিলেও উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা জাফরের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আগের পদবঞ্চিতরা সমর্থন দিয়েছেন ইব্রাহিমকে।

ভোটের পরিস্থিতি নিয়ে জাফর আলম বলেন, প্রতিদিন শো-ডাউনে লাখো মানুষের ঢল প্রমাণ করেছে চকরিয়া-পেকুয়ার জনগণ আমাকে ভালবাসে। আমি তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই।

তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এই আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলাম। জনগণের খুব কাছাকাছি ছিলাম। এজন্য জনগণ এবারের নির্বাচনেও আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। তাই জনগণের সেই ভালবাসা থেকে আমি কোনদিন দূরে থাকতে চাই না। ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি জনগণের সেবা করতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।