কুমিল্লা: কুমিল্লা-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের কিছু চিহ্নিত সহযোগী, কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। সেইসঙ্গে শোকজের পরও কাউন্সিলররা সুবিধাভোগীদের ভাতার কার্ড আটকে রেখেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) কুমিল্লার মডার্ন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সীমা বলেন, কুমিল্লার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভয়ের মধ্যে আছে। তাদের ফোন করে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধমক দেওয়া হচ্ছে। ভোটের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীদের হিংস্রতা বাড়তে পারে। কর্তৃপক্ষকে তাদের নিরাপত্তা বিধান ও ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদানে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি। নির্বাচনে সম্ভাব্য বাধাদানকারীদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টাকা ঢালছেন। তিনি ভোটারদের টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছেন। তিনি ও তার লোকজন আমার সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে কুমিল্লা সদরের তিন ইউনিয়ন জগন্নাথপুর, আমড়াতলি ও পাঁচথুবিতে আমার ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন তারা। এছাড়া ভোটার উপস্থিতি কম হলে নৌকার প্রার্থী জিতে যেতে পারেন, এমন ভাবনা থেকে সম্ভাব্য সব উপায়ে আমার ভোটারদের কেন্দ্রে না আসতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
কুমিল্লা-৬ আসনের নৌকার প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, যতগুলো অভিযোগ ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সীমা করছেন, তা ভিত্তিহীন। এসবের কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই।
জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান জানান, যখনই কোনো প্রার্থী অভিযোগ তুলছেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। ভাতার কার্ডের বিষয়টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ভালো বলতে পারবেন।
বলপ্রয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, কারও পক্ষেই সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। মাঠে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
এসআইএ