ফরিদপুর: ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ বলেছেন, আগামী ০৭ জানুয়ারি হবে ফরিদপুরের মুক্তির দিন। বিজয়ের দিন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ফরিদপুর শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
একে আজাদ বলেন, আমার পোস্টার দিনে টাঙালে রাতের আঁধারে তা উধাও হয়ে যায়। নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমাকে মোটেই সহ্য করতে পারে না। তারা আমার পোস্টারের সঙ্গেও শত্রুতা করে। আমার লোক বাসা থেকে বের হয় ভালো পা নিয়ে, কিন্তু ফেরার সময় ভাঙা পা নিয়ে বাসায় যেতে হয়।
জনগণকে উদ্দেশ্য করে এ কে আজাদ বলেন, জেলা সদরের শরীয়তউল্যাহ বাজার থেকে দোকান প্রতি ৩০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। দোকানদাররা অঝোরে কাঁদে। তবুও তাদের নিস্তার মেলে না। আমার প্রথম চাওয়া হবে, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত ফরিদপুর গড়া।
এ কে আজাদ বলেন, ফরিদপুর একটি শিল্পনগরী হবে। ভোলা থেকে গ্যাস এনে ফরিদপুরের শিল্প কাজে ব্যবহার করব। এছাড়া ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিটি করপোরেশন করা হবে। একটি মেডিকেল কলেজ হবে। জেলার স্বাস্থ্যসেবা একেবারে নাজুক অবস্থারও পরিবর্তন করব।
জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিপুল কুমার ঘোষ বলেন, ৭ জানুয়ারি আপনারা ভোট দেবেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। চাঁদাবাজ ও দখলবাজের বিরুদ্ধে। এবার সুযোগ এসেছে ফরিদপুরকে আপনারা মুক্ত করুন।
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য শাহ আলম মুকুল, খলিফা কামাল উদ্দিন, সাদিকুজ্জামান মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহিদুল ইসলাম নিরু, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রসূল তানিয়া প্রমুখ।
একে আজাদের নির্বাচনী জনসভা সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নেতা-কর্মীরা মাঠে জায়গা না পেয়ে আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
এসআরএস