সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় উপজেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে থাকা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় ধর্মপাশা থানাকে মামলা নিতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে।
মামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, নুরে আলম নুরু, আবুল কাশেম, হাসেম, মোজাহিদ ও তোফায়েলকে আসামি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এ সংক্রান্ত একটি নোটিশের অনুলিপি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও ধর্মপাশা থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবের আদেশক্রমে গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন কমিশনের উপসচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালাম।
এ বিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল হক জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই মামলা দায়ের করা হবে।
কমিশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকা কর্মীদের ওপর আকস্মিকভাবে হামলা করে তাদের স্মার্টফোন ভাঙা, নৌকা মার্কার ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। নৌকার নির্বাচনী অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর এবং নৌকার সমর্থকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কিল-ঘুষি ও গলা টিপে ধরাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
এই ঘটনা ঘটিয়ে হামলাকারীরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৭ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৭ (২)-এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এই অবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আমলযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় ওই আদেশের ৭৩ ও বর্ণিত বিধিমালায় বিধি ১৮-এর অধীনে ধর্মপাশা থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪, জানুয়ারি ০৬, ২০২৪
এইচএ/