বাগেরহাট: বাংলাদেশের নির্বাচনী বিধিমালায় পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে বিষয়টি কিছুটা জটিল হওয়ায় ভোটারদের আগ্রহ খুবই কম।
আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ২৪৩ জনের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ভোট দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুনরায় রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে পোস্টাল ব্যালটটি পাঠাবেন ভোটাররা।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, যারা নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত রয়েছেন এবং সশরীরে ভোট দিতে পারবেন না তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে ২৪৩ জনকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছি। তাদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। আশা করি, তারা ভোট দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডাকযোগে ব্যালট ফেরত পাঠাবেন।
যারা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন: শারীরিকভাবে সরাসরি ভোটদানে অসমর্থ ভোটাররা আগে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে কিছু প্রক্রিয়া মেনে তা ডাকযোগে পাঠিয়ে ভোট দিতে পারেন। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয়ে থাকে পোস্টাল ব্যালট ভোট। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটার, প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার, সরকারি চাকরিজীবী, যিনি চাকরি সূত্রে নিজ এলাকার বাইরে বসবাস করেন ও কারাবন্দিরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আবেদন করতে পারেন।
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে যা যা করতে হবে: পোস্টাল ব্যালট পাঠানোর সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবেদনকারী নাম, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নাম এবং ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর ইস্যু করা ব্যালট পেপারের মুড়িপত্রে লিখে রাখবেন। ভোটার নিজেই যথারীতি ভোট দিয়ে ব্যালট পেপারটি খামে ভরে পাঠাবেন। এক্ষেত্রে ডাক বিভাগের উপযুক্ত কর্মকর্তাকে দিয়ে সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের মাধ্যমে ডাকযোগে পাঠানোর প্রত্যয়নসহ তারিখ উল্লেখ থাকতে হবে। সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালট পেপার গ্রহণ ও চিঠির ওপর এ সংক্রান্ত রাবার স্ট্যাম্পের সিল ব্যবহার করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে ব্যালট পেপারের সঙ্গে ভোট দেওয়ার নির্দেশনা, ঘোষণাপত্র, একটি ছোট ও একটি বড় খামসহ প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ সরবরাহ করবেন। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর পোস্টাল ব্যালট পাওয়া গেলে তা ভোট হিসেবে গণ্য হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৪
এসআইএ