নারায়ণগঞ্জ: ভোট গণনার অগ্রিম কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে এক ঘণ্টা দেরিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার হাজী নুরুদ্দিন আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে হাজী নুরুদ্দিন আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এই চিত্র দেখা যায়।
এ কেন্দ্রে মোট ভোটারসংখ্যা ৩৩২৯টি।
কেন্দ্রের একাধিক প্রার্থীর এজেন্টরা জানান, প্রিসাইডিং অফিসার দিন শেষের ভোট গণনার ফরমে অগ্রিম স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর না দিতে চাইলে অচলবস্থার তৈরি হয়। প্রিসাইডিং অফিসার বাধ্য হয়ে অগ্রিম স্বাক্ষর বাতিল করে নতুন করে আবার স্বাক্ষর নিয়ে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেন। এর ফলে ভোট গ্রহণ শুরু এক ঘণ্টা পিছিয়ে যায়। নতুন করে স্বাক্ষর নিয়ে ৯টা থেকে ভোট শুরু হয়। এ সময় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়।
এ বিষয়ে কেটলি প্রতীকের এজেন্ট ইমাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এজেন্টের ডকুমেন্টেশনে স্বাক্ষর করার সময় পোলিং এজেন্টের পক্ষে গণনা পরবর্তী সম্মতিপত্রে অগ্রিম সাইন করতে বলে। এতে না বুঝে দু-একজন স্বাক্ষর করে। অসম্মতি জানানো হলে অগ্রিম স্বাক্ষর বাতিল করতে বাধ্য হয়। এ কারণে ভোট গ্রহণ শুরু করতে দেরি হয়।
এ বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসার সোহরাব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমি জোর করে এজেন্টদের কাছে ভোট গণনার কাগজে স্বাক্ষর নিইনি। তাদের কয়েকজন স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর দিয়েছিলেন। একজন এজেন্ট বিষয়টি বোঝার জন্য বাইরের পুলিশের কাছে চলে যায়। বাইরে থেকে ফিরে এসে অন্যরা অগ্রিম স্বাক্ষর করতে অসম্মতি জানায়। এরপর অগ্রিম স্বাক্ষর করা কাগজ আমরা বাতিল করি।
দায়িত্বরত পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর শহিদুলের ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
জেডএ/এসএএইচ