রাজশাহী: রাজশাহীতে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শুরুর পর কেন্দ্রগুলোতে ভিড় কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে ভোটারদের উপস্থিত বাড়তে শুরু করেছে।
সূত্র মতে, রোববার সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের ৭৭০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ৩১০টি। এখানে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বেলা ১২টা পর্যন্ত মোট ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এর মধ্যে- রাজশাহী-(গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে ৩২ শতাংশ, রাজশাহী-২ (সদর) আসনে ৮ শতাংশ, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে ২৫ শতাংশ, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে ১৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এদিকে ভোটগ্রহণ চলার মধ্যেই রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক অভিযোগ করেছেন, বাগমারার তাহেরপুরের জামগ্রাম শ্রীপুরের রামগুয়া, চাইপাড়া, গণিপুরের বুজরোকোলা, জামালপুর, গোয়ালকান্দির কোনাবাড়িয়া, যোগীপাড়া ইউনিয়নের ডুগলপাড়াসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের বের ভোট কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছে নৌকার লোকজন। কোথাও কোথাও এজেন্টদের কক্ষে ঢুকতেই দেয়নি। ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাদোপাড়া কেন্দ্রে মেয়র মালেককে মারধরসহ পিস্তল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে স্বতন্ত্রের সমর্থকদের ভয় দেখাচ্ছে তারা। তাই এসব কেন্দ্রে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি নৌকার প্রার্থীকে গ্রেফতারের দাবি জানান এই আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বাঘার আরিফপুর কেন্দ্রে নৌকার দুই কর্মীকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। আহত দুই কর্মীর নাম রেজাউল করিম (৩২) ও মিশন সরকার (৩০)। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের রাহেনুল হকের সমর্থক রানা, বুলবুল, মান্নান, জনি, লতিফ ও মনিসহ অনেকে একত্রিত হয়ে এই মারপিটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থী শাহরিয়ার আলম।
তবে রাজশাহী জেলা রিটর্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানিয়েছেন, সকালে থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া গেলেও তা খুবই সামান্য। মাঠ পর্যায়ে জুডিশিয়াল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। কোথাও কেউ নাশকতা বা ভোটগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৪
এসএস/এমএম