ফেনী: জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ তোলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আমির হোসেনকে চড় মারতে উদ্ধত হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের হাজী রহিম উল্যাহ।
রোববার (০৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ফেনী-৩ আসনের সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটে।
বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহীনা আক্তারকে ফোন দেন। কথা বলতে বলতে বলেন, এক হাজার জাল ভোট দিয়েছেন এই আমির হোসেন। কেন্দ্রে দুইশ ভোটারও আসেনি। এই প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে এখনই ক্লোজড করুন। এ সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা না বলাতে তাকে চড় মারার উদ্ধত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ।
এই ব্যাপারে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, আমার গায়ে হাত তুলতে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্যাহ। আমি দীর্ঘ ৩৩ বছর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছি।
এদিকে লাঙ্গলের পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে সোনাগাজীতে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হাসান।
এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্লাহ জানান, লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থকরা জাল ভোট দিচ্ছেন।
ফেনী সোনাগাজীর হাজী সেকান্দর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ রেখেছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
এদিকে প্রত্যেক কেন্দ্রে জাল ভোট দিচ্ছেন লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থকরা বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আজিমুদ্দিন আহমেদ।
এ ব্যাপারে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী সঙ্গে কথা বললে তিনি জানিয়েছেন জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে আটককৃতরা তার সমর্থক নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৪
এসএইচডি/এএটি