ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের মতো।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কমিশনের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে গুরুতর সহিংসতা হয়নি। যেখানে অনিয়ম হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুজন নির্বাচন কর্মকর্তা মারা গেছেন। আমরা তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব। যেকোনো তথ্য টিভি থেকে অবহিত হওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোট পড়ার হার এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। কিছুটা ব্যত্যয় হতো পারে। কমবে না বাড়বে না বলতে পারব না। শতভাগ তথ্য মাঠ পর্যায় থেকে আসেনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের যে শঙ্কা ছিল যে, ভোটার উপস্থিতি হয়তো আরও কম হবে, কারণ একটি বড় দল ভোট বর্জন করে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, তা হয়নি। অনেক কেন্দ্রে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবুও ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগে স্বাধীনভাবে চেষ্টা করেছেন। যেগুলোতে সিল মারা হয়েছে, সেগুলো বাদ যাবে। কারণ, পেছনে কর্মকর্তাদের সই নেই।
সিইসি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি, যতটা নিরপেক্ষ করা যায়। স্বচ্ছতা ও দৃশ্যমানতা ফুটিয়ে তোলা গেলে গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, সহিংসতার যে ভয়টা ছিল, তা হয়নি। ফলে এটি একটি সফলতা। এদেশের গণমাধ্যম অনেক দক্ষ। নির্বাচন যদি সফলতা পেয়ে থাকে, সেখানে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেল কি না, তা ফল প্রকাশের পর বোঝা যাবে। সরকারের সহায়তার যে প্রতিশ্রুতি ছিল, তা পাওয়ার কারণেই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনে ২৮টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে এক হাজার ৯৬৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের ভোট গণনার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা স্থানীয়ভাবে ফল প্রকাশ করবেন এবং নির্বাচন কমিশন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
ইইউডি/আরএইচ