ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

স্বতন্ত্র বাদশার কাছে হারলেন ওয়ার্কার্স পার্টির বাদশা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
স্বতন্ত্র বাদশার কাছে হারলেন ওয়ার্কার্স পার্টির বাদশা

রাজশাহী: রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বড় ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশাকে হারিয়েছেন শফিকুর রহমান বাদশা। ফজলে হোসেন বাদশা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক।

 

১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল ঘোষণা করা হয়। রাজশাহী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।

রাজশাহী সদর আসনে ১১২টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলে কাঁচি প্রতীক নিয়ে ৫৪ হাজার ৯০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (স্বতন্ত্র প্রার্থী) শফিকুর রহমান বাদশা।  

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট। ২৩ হাজার ৪৪০ ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে হারালেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান বাদশা।  

এর মধ্যে দিয়ে জোট প্রার্থী হিসেবে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী সদর আসনটি হারালেন। তার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল যে, নৌকা নিয়ে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তিনি আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি। এ কারণে এবার শুরু থেকেই তার বিপক্ষে অবস্থান নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ।  

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ দলীয় জোটপ্রার্থী হিসেবে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার হাতে নৌকা তুলে দেন। তবে স্থানীয়ভাবে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। আর তাই শেষ পর্যন্ত আসনটি খোয়ালেন মহাজোট প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা।

রাজশাহী-২ আসনে বাকি পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে জাসদের মহানগর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ-আল-মাসুদ শিবলী (মশাল) পেয়েছেন ১ হাজার ৫৪ ভোট।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রার্থী ইয়াসির আলিফ-বিন-হাবিব (ছড়ি) ৩০৮ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী কামরুল হাসান নোঙর প্রতীকে ২২৩ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী (ডাব) ৪০৭ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম (লাঙ্গল) পেয়েছেন এক হাজার ৮২৬ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে ভোট পড়ে ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
এসএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।