ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা পৌনে ১৬ লাখ 

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৪
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা পৌনে ১৬ লাখ 

ঢাকা: আসন্ন ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে মেয়র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ পৌনে ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

আর কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটার সংখ্যার অনুপাতে সর্বনিম্ন সোয়া লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ছয় লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) প্রার্থীদের এই ব্যয়সীমা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

সংস্থাটির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যক্তিগত খরচ ও নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্বাচনী ব্যয়সীমার অতিরিক্ত কোনো অর্থ একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচন ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিশোধ করতে পারবেন না। একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে উক্ত প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না। তবে, নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যক্তিগত খরচ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ করতে পারবেন।

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার ব্যক্তিগত খরচ বাবদ, অনধিক পাঁচ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পঁচাত্তর হাজার টাকা, পাঁচ লাখ এক হতে ১০ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা, ১০ লাখ এক হতে ২০ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০ লাখ এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এছাড়া নির্বাচনী ব্যয় বাবদ, অনধিক পাঁচ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা, পাঁচ লাখ এক হতে ১০ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা, ১০ লাখ এক হতে ২০ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ এবং ২০ লাখ এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এই সিটিতে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন। এদের মধ্যে এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭১ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৭২ হাজার ৬১০ জন নারী। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন নয়জন ভোটার।

এই হিসাবে মেয়র প্রার্থী ব্যক্তিগত ব্যয় ৭৫ হাজার টাকা ও নির্বাচন বাবদ ১৫ লাখ টাকা; মোট পৌনে ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

অন্যদিকে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা
ব্যক্তিগত খরচ বাবদ, অনধিক পনের হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা, পনের হাজার এক হতে ত্রিশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা, ত্রিশ হাজার এক হতে পঞ্চাশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার এবং পঞ্চাশ হাজার এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এসব প্রার্থীরা নির্বাচনী ব্যয় বাবদ, অনধিক পনের হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা, পনের হাজার এক হতে ত্রিশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা, ত্রিশ হাজার এক হতে পঞ্চাশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা এবং পঞ্চাশ হাজার এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয় লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল হক খান (টজু), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ রেজাউল হক।

এই নির্বাচনে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৯ জন ও সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। আগামী ৯ মার্চ ভোটগ্রহণ করা হবে ১২৮টি কেন্দ্রে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৪
ইইউডি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।