ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পঞ্চগড়ে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
পঞ্চগড়ে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ!

পঞ্চগড়: আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে পাল্টা-পাল্টি হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।  

বুধবার (১ মে) জেলার আটোয়ারী উপজেলার ধামোর হাটে এ ঘটনা ঘটে।

রাতেই খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। এর কিছু সময় পর আরেকটি নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্পে হামলা ও কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। এতে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা পরিবেশ বিরাজ করতে দেখা গেছে। এতে আহত হয় উভয় পক্ষের ৪-৫ জন।

জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় একই বাজারে পাশাপাশি অবস্থিত মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ও ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এর পর আবারো বৃহস্পতিবার রাতে বিরোধে জড়ান তারা।

এ ঘটনায় কথা হয় মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলামের সাথে। তিনি অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে নিজেদের ক্যাম্পে অগ্নি সংযোগ করেছে তারা। এর আগে আমার কর্মী-সমর্থকেরা প্রচারণা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তারা তাদের গতিরোধ করে হামলা ও মারধর করে। এর মাঝে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজেদের ক্যাম্পে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সাথে তারা আমাদের ক্যাম্পে এসে হামলা ও মারধর করে। তার পরেও আমরা এলাকার অবস্থা ও মানুষকে শান্ত রাখতে কোন অভিযোগ দায়ের করিনি।

ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ধামোর ইউনিয়নে প্রায় ৯০ শতাংশ লোক আমার সমর্থক। আমার প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল, তারা বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে ঢুকার চেষ্টা করছে। তারা বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে গিয়ে আমাদের ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকার মানুষ ও সাধারণ ভোটার বিষয়টিকে মেনে নিতে না পেরে তাদের ঘোরাও করে আটক করে রাখে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে প্রশাসনকে অবগত করি। প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলে তারা একটি আপসনামা দিলে সবাই চলে যায়। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কোনো অভিযোগ দায়ের করিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনা জানার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশসহ সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। উভয় পক্ষে এ ঘটনায় কোনো মামলা করবে না বলে সহকারী রিটার্টিং অফিসার বরাবর একটি আবেদন দাখিল করে। আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি যে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং সব নির্বাচনী ক্যাম্পগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরে বিষয়টি সবাই মেনে নেন।

বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। একই সঙ্গে পুরো উপজেলার নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।