ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বৈরী আবহাওয়ায়ও কক্সবাজারের তিন উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৪
বৈরী আবহাওয়ায়ও কক্সবাজারের তিন উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ

কক্সবাজার: গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যায়।

তবে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

সকালে কক্সবাজার পৌরসভার পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ কেন্দ্রে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনারস মার্কার প্রার্থী মুজিবুর রহমানের সমর্থক পৌরসভার প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন সেতুর নেতৃত্বে অপর প্রার্থী মোটরসাইকেল মার্কার নুরুল আবছারের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে।  

নুরুল আবছারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, সালাহউদ্দিন সেতুর নেতৃত্বে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলের কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ২০টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

তবে প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন সেতু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। খুব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে।  

সদর উপজেলায় তিনজন প্রার্থী থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন দুইজন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন দুইজন।   
ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ) পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন রশিদ মিয়া।  

সকাল থেকে কক্সবাজার পৌরসভা, ঝিলংজা, খুরুশকুল, পিএমখালী, ভারুয়াখালী, চৌফলদন্ডীসহ উপজেলার ৩০টি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি খুবই কম।

ঝিলংজা ইউনিয়নের ছুরতিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ১৮ শতাংশ। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৪৬৮। এছাড়া আশপাশের কেন্দ্রগুলোতেও ভোটের হার প্রায় একই রকম।

অন্যদিকে কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলায় ভোটগ্রহণে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।  

কুতুবদিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আছেন তিনজন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী অসুস্থ হয়ে শনিবার থেকে মাঠে নেই। দলীয় নেতা ও পারিবারের সদস্যরা জানান, তিনি শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভোটের মাঠে আছেন।  

এ উপজেলায় নারী ও সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।  

মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থী থাকলেও সেখানে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নিশান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে তিনজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন হাবিব উল্লাহ (টুপি), গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী (মোটরসাইকেল) এবং জয়নাল আবেদীন (দোয়াতকলম)। তিনজনই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।  
ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ) পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

তিন উপজেলায় মোট ভোটার পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯৬ জন। যার মধ্যে সদর উপজেলায় দুই লাখ ২২ হাজার ৮৬৮ জন। মহেশখালী উপজেলায় দুই লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৮ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ৯৭ হাজার ১৭০ জন ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র ২০৪টি। যার মধ্যে সদরে ৮৬টি, মহেশখালীতে ৮১টি এবং কুতুবদিয়ায় ৩৭টি কেন্দ্র।

কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৪
এসবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।