পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে একটি কেন্দ্রে সরকারি গাড়ি ভাঙচুরসহ কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) সকালে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার গোলাম আজম বাদী হয়ে মামলার এজাহার জমা দেন।
গত মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের দামানীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতার এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেফতারা হলেন- শালডাঙ্গা ইউনিয়নের বন্দীগ্রাম এলাকার রাজকুমার রায়ের ছেলে মিঠুন রায় ও দামিনীগ্রাম এলাকার দীনেশ চন্দ্র দায়ের ছেলে দীনবন্ধু রায়। তারা হেলিকপ্টার প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী মদন মোহন রায়ের কর্মী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মামলার এজাহার এবং কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুই নারী সদস্য ও এক সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, ভোট শেষে বিকেলে গণনা চলছিল। এর মাঝে কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা শুরু হয়। ফলাফলে যেন কোনো ত্রুটি না হয় সেজন্য আমরা একাধিকবার ভোট গণনা করেছি। গণনা শেষে সন্ধ্যার পরে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয় তখন হেলিকপ্টার প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাদের দাবি, হেলিকপ্টার প্রতীক আরো বেশি ভোট পাওয়ার কথা ছিল। যদিও কেন্দ্রটিতে হেলিকপ্টার প্রতীক বিজয়ী হয়েছিল। আমরা কক্ষের ভেতরেই ছিলাম। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগে ভোট কক্ষের দিকে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন কর্মী-সমর্থকরা।
এসময় সরকারি গাড়ি ও মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানান তারা।
আহতদের রাতেই দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বাংলানিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, দিনভর সুষ্ঠু ভোট শেষে উপজেলায় শালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) মদন মোহন রায় হেলিকপ্টার প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭০৩ ভোট।
তবে ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৪
এসআইএস