নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ সোমবার (১৭ জুলাই) নির্বাচন ভবনে তার কার্যালয়ে এসব কথা বলেন। এর আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে সমন্বয় কমিটির একটি সভা করেন তিনি।
মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তারা এখন আর কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বলে ইসির কাছে তথ্য এসেছে। যে কারণে সংস্থাটি এবার বিশেষ এলাকার পরিধি বাড়িয়েছে। এক্ষেত্রে আগে ২০টি উপজেলায় রোহিঙ্গা উপস্থিতি ধরে নিয়ে ২০টি কমিটি কাজ করতো। এবার উপজেলার সংখ্যা আরও দশটি বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আব্দুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়ার বিষয়ে বিশেষ এলাকা চিহ্নিত করা আছে। বিশেষ এলাকা এর আগে ২০টি উপজেলা ছিল। এবার আরও ১০টি এলাকা চিহ্নিত করেছি। বিশেষ এলাকার কমিটিগুলো কোনো বিদেশি যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। চেক দেবে। কিভাবে চেকটা দেবে তারও নির্দেশনা দেওয়া আছে। এক্ষেত্রে এসব এলাকায় কেউ ভোটার হতে চাইলে বাবা-মার এনআইডি, ফুফু-চাচার এনআইডি, প্রয়োজনে অন্য আত্মীয়ের এনআইডিও প্রমাণ হিসেবে দিতে হবে। এছাড়া আরও অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশেষ কমিটি বিদেশিদের বা রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করবে।
সচিব বলেন, তিনটি ধাপে মোট ৭২ দিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
যারা ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণ করেছেন তারাই কেবল ভোটার হতে পারবেন। এসময় কেউ ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চাইলে তা করতে পারবেন।
১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে ভোটার এলাকা স্থানানান্তর করা যাবে। তবে তথ্য হালনাগাদে নাম সংশোধনের বিষয়টি রাখা হয়নি। নাম বা অন্য যেকোনো সংশোধনের জন্য যেকোনো দিন সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। আর এটা সারাবছরই করা যাবে।
সচিব আরও বলেন, এবার ভোটার তালিকায় ৩৫ লাখ ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি।
এক্ষেত্রে নারী ভোটার বাড়ানোর জন্য আমরা বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী এবং সচিবের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছি। মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন যে অধিদফতরগুলো আছে, সেই অধিদফতরগুলোর বিভাগ, জেলা, উপজেলা লেভেলের কর্মকর্তারা আছেন, তাদেরকে আমরা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। এছাড়া নারী নেতৃত্বে যারা আছেন, বিশেষ করে নারী জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মীদের এই কার্যক্রমের সহযোগিতা আমরা চেয়েছি।
বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহের কাজ ৯ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
সকল বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় সভাটি আয়োজন করে ইসি সচিবালয়।
আরও পড়ুন:
প্রতিজনকে ভোটার করতে ব্যয় ১৪৪ টাকার বেশি
২৫ জুলাই থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
ইইউডি/এমজেএফ