বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ও প্রশাসনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোহিঙ্গারা আর চট্টগ্রামে সীমাবদ্ধ নেই। তারা বিস্তীর্ণ সমতলেও ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১৭ জুলাই বিভাগীয় কমিশনার ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভোটার তালিকা হালানাগাদ সমন্বয় কমিটির এক বৈঠক করেন ইসি সচিব।
বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, এতে কর্মকর্তাদের আলোচনা থেকে এই তথ্য উঠে আসে যে, রোহিঙ্গারা আর চট্টগ্রামে সীমাবদ্ধ নেই। তারা সমতলেও ছড়িয়ে পড়েছে। তাই রোহিঙ্গা ঠেকাতে বিশেষ কমিটিকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে বলে অভিমত দেন অনেকে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ সোমবার (২৪ জুলাই) মাঠ কর্মকর্তাদের ‘সর্বাত্মক সতর্কতা’র নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গারা অসাধু চক্রের সহায়তায় দেশের সমতল এলাকায় ভোটার হওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে। এরূপ অপচেষ্টায় তারা দেশের অন্য অঞ্চলসহ ঢাকা সিটিতেও ভোটার হওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে। তা প্রতিরোধের জন্য সকল পর্যায় থেকে সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়া বিষয়টি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্যসংগ্রহকারীদের বিশেষভাবে অবহিত করতে হবে। ’
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সারাদেশে বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে আগামী ৯ আগস্ট শেষ করবে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ পূর্ণ হবে, কেবল তাদেরই ভোটার করে নেওয়া হবে। এবার ৩৫ লাখ ভোটারকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে সংস্থাটি। একাজের জন্য ৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৬ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ফলে ভোটারপ্রতি খরচ হবে ১৪৪ দশমিক ২২ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
ইইউডি/জেএম
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে বিশেষ এলাকার পরিধি বাড়লো
বেড়েই চলছে রোহিঙ্গা ভোটার, অসহায় ইসি
চিহ্নিত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির তাগিদ
৯৮ রোহিঙ্গার নাম কর্তনের নির্দেশ: মদতদাতা বদির বিষয় চেপে যাচ্ছে ইসি
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তালিকা: রোহিঙ্গা মদদদাতাদের শীর্ষে এমপি বদী