ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাথা থেকে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি ছোট ছোট দল কেবল ২০১৬ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রায় ৩০টি দল এখনও হিসাব জমা দেয়নি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) -১৯৭২ অনুযায়ী, বিগত পঞ্জিকা বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে কোন খাতে কত টাকা আয়-ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য ইসি নির্ধারিত ছক অনুযায়ী দলগুলোকে কোনো অডিট ফার্মের মাধ্যমে তৈরি করা প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ২০১৬ সালে নির্বাচন কমিশনে ২০১৫ সালের আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দাখিল করেছে সেখানে দলটি আয় দেখিয়েছে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। আর ব্যয় করেছে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। অর্থাৎ সে সময় দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছে।
সদস্যদের চাঁদা, উপ-নির্বাচনের ফরম বিক্রি, ব্যাংকের সুদ, অনুদান, পত্রিকা-প্রকাশনা বিজ্ঞাপন বাবদ আয় থেকে ওই পরিমাণ অর্থ আয় করেছিল আওয়ামী লীগ। আর কর্মচারীদের বেতন, ত্রাণ কার্যক্রম, বিভিন্ন কর্মসূচি, সভা ও জনসভা প্রভৃতি খাতে দলটি ব্যয় দেখিয়েছিল।
ক্ষমতাসীন দলটি বিগত তিন বছরেই উদ্বৃত্ত দেখিয়েছে। ২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এতে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের।
২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এতে প্রায় ৬ কোটি টাকার দলটির উদ্বৃত্ত ছিল।
এদিকে ২০১৬ সালে বিএনপির ২০১৫ সালের দাখিল করা আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত তিন পঞ্জিকা বছরে দলটির আয় বাড়েনি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতিতে ছিল। কেননা, দলটি সে বছর আয় দেখিয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা।
২০১৪ সালের (পঞ্জিকা বছর) দলটি বিভিন্ন খাতে দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা আয় দেখিয়েছে। আর ব্যয় দেখিয়েছে তিন কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার টাকা। এতে আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে দলটির।
২০১৩ সালে (পঞ্জিকা বছর) দলটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিলো। সে সময় ঘাটতি ছিলো প্রায় দেড় কোটি টাকা।
অন্যদিকে ২০১৬ সালে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের আয় চার গুণেরও বেশি ছিল।
২০১৬ ও ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্তত ১০ টি দল সময় মতো হিসাব দাখিল করতে পারেনি। তারা সময় বাড়ানোর আবেদন জানালে নির্বাচন কমিশন পরে সময় বাড়িয়েছিল একমাস।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
ইইউডি/এমজেএফ