একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার (৩১ জুলাই) সুশীল সমাজের ৩৮ প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শেষ তিনি এসব কথা বলেন।
কেএম নুরুল হুদা বলেন, সংলাপে সুশীল সমাজ, সরকার ও দল যারা নির্বাচন নিয়ে ভাবেন, তারা মতামত দেবেন।
সিইসি বলেন, সংলাপে অনেকেই বলেছেন সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে। কেউ আবার ভয়ভীতি দূরীকরণ, প্রচুর অর্থ ও পেশি শক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য বলেছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে কারা থাকবে, কি থাকবে না সেটা নয়, জাতি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে এটাই তারা মনে করিয়ে দিয়েছে। আমরা কোনো বক্তব্য তুলে ধরবো না। সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে করা যায়, সেটা আমরা সংলাপ শেষ হলে ভাববো।
তিনি বলেন, না ভোটের বিষয়ে অনেকেই বলেছেন। প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনা যায় না কিনা সেটাও আমরা ভাববো। ভোটার তালিকা অনলাইনে প্রকাশ, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় যেন নির্বাচনের সময় ইসির অধীনে থাকে, সেটাও মতামত দিয়েছেন অনেকে। আবার নির্বাচনী ব্যয় কমানোর কথাও অনেকে বলেছেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের আগে পরে কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে। তিন লাখ টাকার বেশি ব্যয় হতে পারবে না। ইসিই নির্বাচনী ব্যয় বহন করবে। যাতে প্রার্থী মোট অংকের টাকা খরচ করতে না পারে।
কেউ কেউ সেনা বাহিনীকে নির্বাচনে ব্যবহার করা হলে অন্যান্য বাহিনীর ক্ষমতা খর্ব হবে এবং ব্যাহত হবে বলেও মতামত দিয়েছেন। আবার আদিবাসীদের কোটা, নারীদের নিরাপত্তা, নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তারা।
সংলাপ অর্থবহ হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তারা খুব ডিফার করেছে এমন নয়। ওটা ওরকম না। মতপার্থক্য খুব আসেনি। সংলাপে যে বক্তব্য নেওয়া হবে, সেটা সংবিধানের আঙ্গিকে যা গ্রহণযোগ্য হবে তাই নেই। এর বাইরে গ্রহণ করতে পারবো না।
তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে খুব কম আলোচনা হয়েছে। জনসংখ্যার অনুপাতে দুই এক বলেছে। তাও আইনগত আলোচনা হয়নি।
কমিশনকে আস্থা অর্জনের বিষয়ে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নটা প্রায় সকলেই করেছে। আস্থা নিয়েই জনগণের কাছে যেতে হবে। আস্থার ক্ষেত্র তো সংলাপও একটা উপায়। আমরা সর্বাত্মক মনযোগ দিয়ে নির্বাচন করি। তাই খুব একটা কমপ্লেন আসেনি। কোনো কিছুর তোয়াক্কা করিনি অভিযোগ আসলেই ব্যবস্থা নিয়েছি।
নির্বাচনে প্রার্থীর যোগ্যতা আইনে বলা আছে। তিন বছর সাজা হলে সাজা শেষ হওয়ার পাঁচবছর অতিক্রান্ত না হলে কেউ প্রার্থী হতে পারবে না।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, জানুয়ারিরর মধ্যে আমরা সংলাপের মতামত প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করে তা সরকার ও প্রত্যেক দলের কাছে পাঠিয়ে দেবো।
সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনকে যে স্বাধীনতা দেওয়া আছে, এবং সরকারের আচরণ যেন নির্বাচমুখী হয় সে ক্ষেত্রগুলো এড্রেস করা উচিত, এটা বলবো।
নির্বাচন কমিশন এরপর এনজিও, নারী প্রতিনিধি, গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপে বসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
ইইউডি/বিএস