ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম বাদ দেওয়ার পরামর্শ সুশীল সমাজের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
ইভিএম বাদ দেওয়ার পরামর্শ সুশীল সমাজের কথা বলছেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছিল ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পক্ষ থেকে। নির্বাচন কমিশনও (ইসি) বারবার বলছিল, দলগুলো একমত হলে তারা সামনের নির্বাচনেই যন্ত্রটির ব্যবহার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সংলাপে এসে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে ইসিকে ইভিএমে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তাদের মতে, ইভিএম নিয়ে এরইমধ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন মহল ও‍ একটি বড় দলের আপত্তি রয়েছে। এছাড়া ২০১৩ সালের রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যন্ত্রটি বিকল হয়ে পড়ায় এর সক্ষমতা ও স্বচ্ছতা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।

তাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অভিমত, যে যন্ত্র বিতর্কিত, সেটিকে সামনে আরও বেশি বির্তকের সৃষ্টি না করাই ভাল।
 
আইন সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সোমবার (৩১ জুলাই) প্রথমবারের মত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে সংলাপের সূচনা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন।
 
ইসির সংলাপ আয়োজনে অতিথিরাসংলাপ থেকে বেরিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ইভিএম নিয়ে বৈঠকে আলোচনা উঠেছিল। কিন্তু এ নিয়ে বলা হয়েছে যে, বিতর্কিত যন্ত্রটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন যেন আর কোনো বিতর্কের সৃষ্টি না করে।
 
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ইভিএম নিয়ে আর যেন বিতর্কের সৃষ্টি না করা হয় সে মতামত দিয়েছি।
 
সুশীল সমাজের ৬০ প্রতিনিধিকে সংলাপে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানায় নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে ৩৮ জন অংশ নিয়ে তাদের মতামত জানান। অবশিষ্টরা শারীরিক অসুস্থতা, বিদেশে অবস্থানসহ বিভিন্ন কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
 
আলোচনায় দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা না দিয়ে মাঠে নামানোর জন্য প্রস্তাব করেন। একইসঙ্গে নির্বাচনকালে সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং না ভোটের পুনঃপ্রবর্তন করার ওপর জোর দেন।
 
সিইসি কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপ বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে মাঝে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি দিয়ে বিকাল ৪টার দিকে শেষ হয়। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনজিও, নারী প্রতিনিধি, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপে বসবে সংস্থাটি।
 
আরও পড়ুন
>>একাদশ সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং নয়, ইভিএমও অসম্ভব
>>ইভিএম এখন ইসির কোটি টাকার গলার কাঁটা!
>>ইভিএমে অদৃশ্য কারচুপি, নির্ভর করতে হবে ব্যালটেই

বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
ইইউডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।