এদিকে নির্বাচন কমিশনও মনে করছে, এটি ইতিহাসের সবচেয়ে সফল সংলাপ। আর এ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাসহ পুরো নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়ের সব কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, সোমবারের (৩১ জুলাই) সংলাপের পর মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বৈঠকে বসেছিল কমিশন। প্রথম সংলাপের পর বিভিন্ন মহল থেকে আসা প্রতিক্রিয়া নিয়ে বৈঠকে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সবাই একমতও হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপ সবাই ভালোভাবে নিয়েছে। এটা ইতিবাচক দিক। এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সামনের সংলাপগুলোও সম্পন্ন করা হবে। এবার বসা হবে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সম্পাদকদের সংলাপে অংশ নিয়ে মতামত জানানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।
বুধবারের (২ আগস্ট) মধ্যে সাংবাদিকদের তালিকা চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি সম্পন্ন হলেই তাদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ কখন-কিভাবে হবে এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা করেনি কমিশন।
তবে সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দু’ভাবেই বসার কথা ভাবছে কমিশন। এক্ষেত্রে একটি হতে পারে দলগুলোর নামের প্রথম অক্ষর বিবেচনায় নিয়ে, অন্যটি দলগুলোর নিবন্ধনের ক্রমানুসারে। আগের সংলাপগুলোতে দলগুলোর নামের প্রথম অক্ষরের ক্রমানুসারে একেকটি দলকে পর্যায়ক্রমে সংলাপে ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন।
বড় দলগুলো শেষের দিকে সংলাপে বসতে চায়। তবে দলগুলোর নামের প্রথম অক্ষরের ক্রমবিন্যাস প্রাধান্য পেতে পারে বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সংলাপে এসে নির্বাচনকালীন সময়ে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন, না ভোটের পুনঃপ্রবর্তন, সেনা মোতায়েন (বিচারিক ক্ষমতা ছাড়া), কালো টাকার প্রভাব কমাতে নির্বাচনী ব্যয় নিরীক্ষার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। একইসঙ্গে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের ভাবনা বাদ দিতে এবং নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি না করার ওপর জোর দিয়েছেন।
নির্বাচনকালে সেনা মোতায়েন ও সংসদ ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব
ইভিএম বাদ দেওয়ার পরামর্শ সুশীল সমাজের
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস