ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা গেছে, বড় দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ১৬টি দল নারী সদস্য সংখ্যার তথ্য জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপিসহ দুই ডজন দল এখনো কোনো সাড়া দেয়নি।
দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য অন্তর্ভূক্ত করার শর্তে নিবন্ধন পেয়েছিল দলগুলো। নির্বাচন কমিশন সেই শর্ত পূরণের অগ্রগতি জানতেই ওই তথ্য দিতে বলেছিলো। ২০০৮ সালে নিবন্ধন নেওয়ার সময় দলগুলো ওই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ এর খ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে হলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী ২০২০ সালের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এরইমধ্যে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, তাদের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১৫ জন নারী রয়েছে। ৬৪টি জেলা ১২টি মহানগরসহ মোট ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি রয়েছে। আর ৪৯০টি উপজেলা, ৩২৩টি পৌরসভা ও ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন এবং কয়েক হাজার ওয়ার্ড কমিটিও রয়েছে। সব কমিটিতে ১৫ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রয়েছে। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কার্যনির্বাহী সংসদে রয়েছে ১৯ শতাংশ নারী। দলটি ২০২০ সালের মধ্যেই ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য সর্বস্তরে অন্তর্ভূক্তির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১১ শতাংশ আর জেলা-উপজেলা কমিটিতে ৮ থেকে ১২ শতাংশ নারী সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। অন্য যে দলগুলো তথ্য দিয়েছে সেগুলোর নারী সদস্য সংখ্যাও ১৫ শতাংশের নিচে বলে জানিয়েছে ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
এদিকে যোগাযোগ করার জন্য দলগুলোর কাছে ফোকাল পয়েন্ট ব্যক্তির নাম-ঠিকানা ও যোগাযোগের মাধ্যম জানানোর জন্য বলেছিল নির্বাচন কমিশন। ২০ জুলাই সময় শেষ হয়ে গেলেও ১০টি দল এখনো কোনো সাড়াই দেয়নি। আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে তথ্য দিতে আবার তাগাদা দিয়েছে সংস্থাটি।
সাড়া না দেওয়া দলগুলো হচ্ছে- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, সাম্যবাদী দল, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস